মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত বহুল প্রত্যাশিত মওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধনের তৃতীয় দিনেও ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই সেতু এলাকায় যানজট শুরু হয়। বিকেলের দিকে তা তীব্র আকার ধারণ করে। দেড় কিলোমিটারের সেতুটি পার হতে অনেকের দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় যানজট দিন দিন বাড়ছে। এতে সেতু দেখতে আসা হাজারো দর্শনার্থীও সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
সেতুতে দাঁড়িয়ে থাকা নয়ন নামে এক ট্রাকচালক বলেন, দেড় ঘণ্টা ধরে সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে আছি। গাড়ি নিয়ে কোনোভাবেই এগিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। উৎসুক মানুষের ভিড়ের কারণে যানজটের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভ্যানচালক রশিদুল নামে একজন বলেন, দুই ঘণ্টা হতে চলল এখন পর্যন্ত ব্রিজ পার হতে পারিনি। আরও যে কতক্ষণ লাগবে বুঝতে পারছি না। গতকালের চেয়ে আজকে যানজটের তীব্রতা অনেক বেশি।
সেতুতে যানজট নিরসনে দায়িত্বরত কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এএসআই আহসান হাবীব বলেন, মূলত যানবাহন ও লোকসমাগম প্রচুর হওয়ায় এই যানজট। এখানকার অধিকাংশই সেতু দেখতে আসা মানুষ। আমরা এখানে সাতজন পুলিশ সদস্য কাজ করছি।
উদ্বোধনের পরদিনই তিস্তা সেতুতে যানজট, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ
চুরি হয়ে গেছে ভাসানী সেতুর ৩১০ মিটার তার।
সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ মোবাইল ফোনে বলেন, সেতুর যানজট ও জননিরাপত্তায় দুটি টিমে পুলিশের সাত সদস্য কাজ করছেন। প্রকৃতপক্ষে সেতুতে প্রচুর পরিমাণ যানবাহন এবং মানুষ। আমরা সাধ্যনুযায়ী চেষ্টা করছি।
তিনি আরও জানান, সেতু এলাকায় স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের জন্যও কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আলতাব হোসেন বলেন, সুন্দরগঞ্জে আমাদের ট্রাফিক ডেভেলপমেন্ট নেই। উৎসুক জনতা থেমে থেমে সেতু দেখতে ভিড় করছে। এ কারণে যানজট বাড়ছে। ধারণা করছি, এক সপ্তাহ পর এ চিত্র থাকবে না।